Sunday, April 12, 2015

ছুটিতে দেশ ভ্রমন


যারা সমুদ্র দেখতে পছন্দ করেন, তাদের সবার আগে যাওয়া উচিত কক্সবাজার। এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকত। এর পাশেই আছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ। অথবা যেতে পারেন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দেশ কুয়াকাটায়। ঢাকা থেকে রাতের বাসে কক্সবাজার গিয়ে সারাদিন থেকে আবার রাতে ফেরা যাবে ঢাকার উদ্দেশে। তবে সেন্টমার্টিন গেলে আরও একদিন সময় লাগবে। আর কুয়াকাটা গিয়ে এতো কম সময়ে ফেরা যাবে না। কারণ কুয়াকাটা যেতে হলে প্রথমে লঞ্চে বা বাসে যেতে হবে পটুয়াখালী। তারপর সেখান থেকে লোকাল বাসে কুয়াকাটা। তাই সেখানে যেতেই অনেক সময় লাগবে। অন্যদিকে পাহাড় যাদের কাছে টানে, তারা যেতে পারেন রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি। পাহাড়, অরণ্য আর আদিবাসীদের বর্ণিল সাজে সজ্জিত এ জনপদ।

এছাড়া সমুদ্র কিংবা পাহাড় যারা এড়িয়ে চলেন, তারা যেতে পারেন বনবাদাড়ে। আর বন দেখতে হলে প্রথমে আসতে পারেন সুন্দরবনে। এটি বিশ্বের একক বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন। ঢাকা থেকে প্রথমে খুলনা, তারপর সেখান থেকে বিভিন্ন ভ্রমণ পরিচালনাকারী সংস্থার মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারেন সুন্দরবনে। এছাড়া একা একা দিনে দিনে সুন্দরবনের স্বাদ পেতে যেতে পারেন করমজল। মংলাঘাট থেকে ট্রলারে করমজল যেতে সময় লাগবে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা। এছাড়া বিভিন্ন ভ্রমণ পরিচালনাকারী সংস্থার মাধ্যমে ঢাকা থেকেও সরাসরি আপনি সুন্দরবনের উদ্দেশে আসতে পারেন। অনেকেই ভাবেন, দেশের যে কোনো স্থানেই একা একা যাওয়া গেলে সুন্দরবন কেন যাওয়া যাবে না। তাদের ধারণা ভুল। কারণ সুন্দরবনের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে হলে আপনাকে কমপক্ষে তিন-চারদিন সময় নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে হবে। আর সুন্দরবনে কখনও যে কোনো নৌকা বা ট্রলার নিয়ে একা একা প্রবেশ করা যায় না। তাই সুন্দরবনের মূল অংশে আপনাকে যেতে হলে ভ্রমণ পরিচালনাকারীদের সাহায্য নিতে হবে। অথবা নিজেদের ভাড়া করা লঞ্চেই যেতে হবে। এছাড়া লঞ্চ ছাড়া বন বিভাগ আপনাকে সুন্দরবনে একা একা প্রবেশের অনুমতিও দেবে না।

বন, সমুদ্র বা পাহাড় দেখা যাদের আছে, তারা আসতে পারেন সবুজ চা বাগান দেখতে। সিলেট বিভাগজুড়ে রয়েছে অসংখ্য চা বাগান। তবে সবচেয়ে বড় ও বেশি চা বাগান রয়েছে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। রাতের ট্রেনে বা বাসে রওনা হয়ে সকালে নেমে সারাদিন চা বাগান দেখে আবার রাতে ফেরা যাবে ঢাকায়। চাইলে শ্রীমঙ্গল দিনে দিনে গিয়েও দেখে আসা যাবে। দেশের বিখ্যাত হাওরগুলোও রয়েছে এ চায়ের দেশে। হাকালুকি, টাঙ্গুয়া, পাশুয়া, বাইক্কাসহ বিভিন্ন হাওরও দেখে আসতে পারেন সিলেট অঞ্চলে গেলে। এছাড়া সিলেট অঞ্চলজুড়েও রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য অরণ্য। যেখানে ঘুরে পেতে পারেন বাড়তি আনন্দ। আর ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা বা পুরাকীর্তি দেখার জন্য আছে খুলনার ষাটগম্বুজ মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদ, দিনাজপুরের কান্তিজিউর মন্দির, কুমিল্লার ময়নামতি, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, বগুড়ার মহাস্থানগড়, ফরিদপুরের মথুরা দেউর, রাজশাহীর সোনামসজিদ, তোহাখানা, পুঠিয়া রাজবাড়ী, নাটোরের রাজবাড়ী, জমিদারবাড়ী, গণভবনসহ দেশের বিভিন্ন পুরাকীর্তির নিদর্শন।

0 comments:

Post a Comment